Friday, December 24, 2010

মনিটর কেনার আগে একটু ভেবে দেখুন...

img
এলসিডি মনিটরগুলোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হচ্ছে রেজ্যুলেশন সাপোর্ট, কনট্রাস্ট রেশিও, রেসপন্স টাইম ও রিফ্রেশ রেট। তাই এগুলোর মান দেখেই আপনি সহজে ভালো মানের মনিটর বাছাই করতে পারবেন। প্যানেল টাইপ বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভালো মানের পিকচার পাওয়ার জন্য,কিন্তু বাজারের বেশিরভাগ মনিটরের প্যানেল টাইপ হচ্ছে টুইস্টেড নেমাটিক বা TN প্যানেল,তাই এ নিয়ে তেমন একটা না ভাবলেও হবে।
সঠিক আলো ও প্রয়োজনীয় অন্ধকারের মধ্যে সমতা রেখে আলো ছায়ার সঠিক মিশ্রণে ছবি আরো স্পষ্ট করে তোলার জন্য বেশি কনট্রাস্ট রেশিওযুক্ত মনিটর কেনা ভালো।
তবে কেনার আগে কনট্রাস্ট রেশিওর মান টিপিক্যাল না ডাইনামিক হিসেবে দেয়া আছে তা দেখতে হবে।ডাইনামিকের ক্ষেত্রে ৫০০০০:১ এবং টিপিক্যালের ক্ষেত্রে ১০০০:১ হলেই হবে।
সাদা থেকে কালো,কালো থেকে কালো বা কালো থেকে সাদা রং পরিবর্তনে সাড়া দিতে পারে,তার পারিমাণ নির্ধারণ করা হয় রেসপন্স টাইম যত কম হবে তত ভালো। তাই রেসপন্স টাইম ২-৫ মিলিসেকেন্ড সাপোর্টেড মনিটর কেনা উচিৎ দ্রুত ট্রানজিশন পাওয়ার জন্য।
মনিটরে কিছু প্রদর্শিত হচ্ছে এমন সময় মনিটর প্রসেসর থেকে প্রতি সেকেন্ডে কি গতিতে ডাটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম,তার রিফ্রেশ রেট দিয়া পরিমাপ করা হয়। রিফ্রেশ রেট যত বেশি হবে মনিটরের স্ক্রীন তত কম কাপবে এবং নিখুঁত দেখাবে।
বাজারের প্রতিটি ব্র্যান্ডই তাদের মনিটরের সাথে ফিচার লিস্টে সবগুলো ফিচারের পরিপূর্ণ বিবরণ দিয়া থাকে।তাই এগুলো দেখে মনিটর যাচাই বাছাই করা তেমন সমস্যার কোনো কাজ নয়। কিছু ব্র্যান্ডের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন- কিছু মনিটরের ব্রাইটনেস ভালো,কিছুর কালার ডেপথ ভালো ,কিছুর ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয়,কিছুর ডিজাইন বেশ আকর্ষণীয় ,কিছুতে নতুন টেকনোলজির ব্যবহার করা হয়েছে এবং কিছুতে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস রয়েছে।এসব সুবিধার কথা বিবেচনা করে যে ব্র্যান্ডের মনিটর ভালো লাগে ,তা নির্বাচন করুন। তবে মূল যে বৈশিষ্ট্যগুলো রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে কোনো আপস না করে ভালো মনিটর কিনুন। ডিজাইন বা এক্সট্রা ফিচারের দিকে নজর দিতে গেলে ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এল ই ডি এল সি ডি মনিটরগুলো বেশ ভালো। তাই দাম একটু বেশি হলেও তা কেনার চেষ্টা করুন...।

No comments:

Post a Comment